মোঃ সেলিম, নিজেস্ব প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানী বাজারের একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকা মাছের বাক্স থেকে গত ২৫ আগস্ট এমরান হোসেন নামে ৮ বছের এক শিশুর অর্ধগলিত, চেহারা বিকৃত গলায় রশি পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

মুখমন্ডল বিকৃত মৃতদেহটি অনেক চেষ্টার পরে একটি প্যান্টের ষ্টীকার দেখে সনাক্ত করা হয় মৃতদেহটি নিখোঁজ শিশু এমরানের।
প্রথমে নিহতের পিতা এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন, এর পর নিহত স্কুল ছাত্রের পিতার এজহারের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

পরে পুলিশ ক্লুলেস এই শিশু হত্যার ৮ দিনের মাথায় গোপন অনুসন্ধানের সূত্র ধরে এ খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করে।
গোপন তথ্যের সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি বেগমগঞ্জ উপজেলার ৫নং ছয়ানী ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের বরন্দাজ বাড়ি ও বর্তমানে একই ইউনিয়নের বড় মেহেদীপুর গ্রামের মহিনের নতুন বাড়ির আব্দুর রহমান মহিনের ছেলে মো.ওয়াসিম আকরাম (২০), কে পুলিশ গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় ছয়ানী বাজার থেকে গ্রেফতার করে।

ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ওয়াসিম স্বীকার করে, গত ২২ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সে সহ মোট ৪জন শিশু এমরানকে জনৈক সহিদ এর পরিত্যক্ত একচালা টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সকলে পালাক্রমে শিশু এমরানকে মুখ চেপে ধরে পাশবিক কায়দায় বলাৎকার করে। এক পর্যায়ে শিশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকলে তারা শিশুটির গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে মৃতদেহটি প্লাস্টিকের মাছের জুড়িতে ভরে উক্ত পরিত্যক্ত ঘরে লুকিয়ে রাখে।

গ্রেফতারকৃত আসামি মো.ওয়াসিম আকরাম হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খান’র আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর মধ্য দিয়ে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ এ খুনের ৮ দিনের মধ্যে ক্লুলেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

নিহত ইমরান ছয়ানী ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের শামছুল হকের ছেলে। সে ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ খুনের রহস্য উদ্ঘানের বর্ণনা দেন।

Sharing is caring!