এনকে টিভি প্রতিবেদক, ফেনী:

 

নোভেল করোনা ভাইরা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এড়াতে ফেনীতে নতুন করে আরও ৮৩ জন প্রবাসীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় মোট ১৭০ জন বিদেশ ফেরত প্রবাসী কোয়োরেন্টিনে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের ৯৬১ জনসহ কোয়োরেন্টিনে মোট ১১২৫ জন রয়েছেন। কোয়ারেন্টিন শেষে বাসায় ফিরেছে ছয় প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের ৩৪ জনসহ মোট ৪০ জন।

শুক্রবার ( ২০ মার্চ) সকালে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, কোয়োরেন্টিনে থাকা সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কোয়োরেন্টিনে থাকা লোকদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

 

এর বাইরে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেখাশোনা করার জন্য। সিভিল পোশাকে পুলিশও কোয়োরেন্টিনে থাকা লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে কোয়োরেন্টিনে থাকা লোকজনের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের পরিচয় গোপন করা হয়েছে।

 

আইসোলেশন কর্নার হিসেবে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩০ বেড, ফেনী ট্রমা সেন্টারে ৩০ বেড, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বেড, পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ বেড করে ২৫ বেডসহ মোট ১০৫ বেড রেড়ি রাখা হয়েছে।

 

অপরদিকে বিদেশফেরত কোনো ব্যক্তি যদি হোম কোয়োরেন্টিনে না থাকেন এবং থেকেও নিয়ম কানুন না মেনে চলেন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

 

তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে প্রবাসীরা স্বেচ্ছায় হোম কোয়োরেন্টিনে থাকা উচিৎ। কোনো বিদেশফেরত লোক যদি কোয়োরেন্টিনে না থেকে ঘোরাঘুরি করে তাহলে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়।

 

ফেনী জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিদেশফেরত সবাইকে কোয়োরেন্টিনে থাকতে হবে। যদি কেউ না থাকে অথবা কোয়োরেন্টিন নীতিমালা অমান্য করে তাহলে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

 

এক বিবৃতিতে ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী (এমপি) বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্য সর্বস্তরের জনসাধারণকে সর্তক থাকতে হবে। বিশেষ করে যারা বিদেশে থেকে দেশে এসেছেন বা আসছেন তাদের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। বিদেশফেরতদের প্রতি নজর রাখার জন্য তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে যারা আইন অমান্য করবে তাদের ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

  • এনকে/বি/এস/এম/এস

Sharing is caring!