প্রতিবেদক:

ফেনীর সোনাগাজীতে স্প্রাইটের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে দশম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আশফাকুর রহমান বাবলা (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বরর সোমবার রাতে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের বাদামতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ধর্ষক দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর আদর্শ গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নির্মাণ শ্রমিক আশফাকুর রহমান বাবলা ওই স্কুল ছাত্রীর নানার মালিকীয় ভাড়া বাসায় স্ত্রী সহ গত ৪/৫ মাস যাবত বসবাস করে আসছে। রোববার সকালে ওই তরুণী তার নানীর সাথে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে।

সোমবার রাত আটটার দিকে প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস উঠেছে বলে তার স্ত্রী, ঘর মালিক অর্থাৎ ওই তরুণীর নানা, নানি এবং ওই তরুণী কে ঠান্ডা স্প্রাইটের সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী কে রাতভর ধর্ষণ করে এবং তার নানীর ব্যবহৃত মুঠোফেনে তরুণীর আপত্তিকর ছবি ধারণ করে। তার পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ধর্ষকের স্ত্রী সহ ঘর মালিকের পরিবারের সদস্যদের সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা কৌশলে ঘরের দরজা খুলে বাবলাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী সহ পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। ওই স্কুলছাত্রী কে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বিকেলে থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তরুণীর মামা বাদি হয়ে বাবলা কে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Sharing is caring!