বিশেষ  প্রতিনিধি 
.
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রথম নারী অধ্যাপক হলেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. নাহিদ আক্তার। 
.
সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ড. নাহিদ আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নারী হিসেবে পিএইচডি, গবেষণা এক সাথে চালিয়ে  নেওয়া চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি সব কিছু সামলে নিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি।
.
এর আগে গত ২ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৫৫ তম সভায় প্রথম নারী হিসেবে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান তিনি। পরেরদিন ৩ আগস্ট (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসটিই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদ আক্তারকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ হতে তার মেয়াদকাল গণ্য হবে।
.
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর  বলেন, নারী শিক্ষকরাও পিছিয়ে নেই তার দৃষ্টান্ত হলো ড. নাহিদ আক্তার। তিনি শিক্ষক হিসেবেও অনেক মেধাবী।  সহকর্মী হিসেবে  ড. নাহিদ আক্তারের অধ্যাপক পদোন্নতিতে আমরা গর্বিত।
.
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম  বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ তম রিজেন্ট বোর্ডের সভার মাধমে ড. নাহিদ আক্তার অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী অধ্যাপক। আশাকরি তিনি দেশের শিক্ষা ও গবেষণা খাতে অবদান রাখবেন।
.
প্রসঙ্গত, ড. নহিদ আক্তার ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই নোবিপ্রবির কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসটিই) বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড ফিজিক্স, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
.
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগ থেকে অক্সাইড প্যাসিভেটেড কমার্সিয়াল সোলার সেল ফেব্রিকেশন প্রসেস বিষয়ের উপর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি কালীন সময়ে তার সুপারভাইজর ছিলেন ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদ হাসান মাহমুদ এবং ইউকে এম বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়শিয়ার (বর্তমানে ইউনিটেনে কর্মরত) প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন।

Sharing is caring!