মো. সেলিম:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ক্লোজার রেগুলেটরের গেইট বন্ধ করে রাখায় নদীর পানি বেঁড়ে এবং জলাবদ্ধতায় উপজেলার চরপার্বতী, চরহাজারী, মুছাপুর ও পার্শ্ববর্তী চরদরবেশ ইউনিয়নের হাজার হাজার একর জমির আমন ধান এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি বিনষ্টের পথে।

ভুক্তভোগি প্রান্তিক চাষী, বর্গাচাষী ও সাধারণ কৃষকরা এজন্য মুছাপুর রেগুলেটর কর্তৃপক্ষ এবং নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়ী করছে।

গত কয়েকদিন ধরে রেগুলেটরের গেইট বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে ঘূর্নিঝড় বুলবুল পরবর্তী কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলবদ্ধতা হয়ে আশপাশের কৃষি জমি ফসলসহ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগি কৃষকরা জানান, এবার সরকারি ভাবে বিনা মূল্যে বীজ, সার ও কৃষি প্রযুক্তি সেবা পাওয়ায় ফসল ভালো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আগমনকে কেন্দ্র করে আতংকগ্রস্থ ছিলাম, কিন্তু বুলবুল আমাদের ক্ষতি করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফেলতিতে মনুষ্যসৃষ্ট জলাবদ্ধতায় আমন ধান, বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি সহ মৎস্য খামারের মাছ তলিয়ে গেছে।

মুছাপুর রেগুলেটরের গেইট বন্ধ রাখায় শত শত একর জমির ফসল জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে গেছে। এখনও যদি খুলে না দেয়া হয় তাহলে জলাবদ্ধতায় পানির নিচে থাকা সব ফসল শতভাগ নষ্ট হয়ে যাবে বলে কৃষকরা আশংকা প্রকাশ করছেন। ক্ষতিগ্রস্থ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমুহের চেয়ারম্যান এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে লিখিত ভাবে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জানিয়েছেন।

এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নভেম্বর থেকে মার্চ অথবা এপ্রিল পর্যন্ত কৃষি কাজের জন্য মুছাপুর রেগুলেটরের গেইট বন্ধ রাখার জন্য উর্ধ্বতর কর্মকর্তার নির্দেশ আছে। এখন যে সব কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে তা সামান্য মাত্র।

Sharing is caring!