এনকে টিভি প্রতিবেদক:

একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নোয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে ভূমি রেকর্ড অধিদপ্তর। জানা যায়, তদন্তে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

 

ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, নোয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে মাঠ জরিফ, তসদিক, আপত্তি, আপিল নিয়ে অনেকটা খোলামেলা বাণিজ্য করেন, নোয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সামছুদ্দিন আলম, সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা ও পেশকার গোলাম হোসেনসহ অফিসের ৮ থেকে ১০জন কর্মকর্তা।

 

পরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক এ,বি,এম মাহফুজুর রহমান সু-নির্দিষ্ট দশটি মামলা নিষ্পত্তির অনিয়ম ও দুর্নীতির সরেজমিনে তদন্ত করেন। তিনি সরেজমিনে তদন্ত শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, একটি মামলা ৩ কার্যদিবসে শুনানি করে শেষ করার সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কিন্তু এখানে কর্মকর্তাদের যোগসাজেশে শুধু মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রাহকদের হয়রানি করে ১৫ থেকে ২০টি শুনানি করা হয়।

 

তিনি আরও জানান, পেশকার গোলাম হোসেন বিচারক ছাড়াই নিজেই কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে রায় লিখে দেন। এ দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান’র ৭০০/১৯ মামলাটি জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে শুনানির দিন ধার্য ছিল, কিন্তু ওই দিন বিচারক না আসায় পরবর্তী ২৭ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য ছিল। ভুক্তভোগী ২৭ জানুয়ারি এসে জানতে পারে ২০ জানুয়ারি তার মামলা এক তরফা ভাবে তার অনুপস্থিতে শুনানি হয়ে গেছে।

 

তদন্তে দেখা যায়, প্রকৃত পক্ষে ওই দিন (২০ জানুয়ারি) কোন শুনানি হয়নি। কিন্তু পেশকার গোলাম হোসেন ও কর্মকর্তা সামছুদ্দিন আলম যোগসাজশ করে, কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পেশকার গোলাম হোসেন রায় লিখে দেন। তদন্তে এ অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে। একই সঙ্গে দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।

 

  • এনকে টিভি/বি/এস/এম/এস

Sharing is caring!