মো: ইমাম উদ্দিন সুমন, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:

নোয়াখালী সুবর্ণচরে ভুমি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে,হামলায় আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকা জনক বলে দাবী ভুক্তভোগী পরিবারের। আহতরা বর্তমানে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের ভুইঁয়ারহাট সংলগ্ন কলোনি রাস্তার মাথায়। ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানাযায়, ২নং চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নানা অপরাধে বর্তমানে বরখাস্ত) মোজাম্মেল হোসেন ও তার ভাই দেলোয়ারের নেত্রীত্বে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী ৪ আগষ্ট রোববার বেলা ১১টায় ২নং চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের বাসিন্ধা সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাদক্ষ্য গোফরান সওদাগর ও তার পুত্র আবু তাহের (৩৫), আবুল কালাম আজাদ (৩৩) কে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলে এবং শরিরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে । পরে স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী গোফরান সওদাগর আরো বলেন, মোজাম্মেল চেয়ারম্যান দির্ঘদিন ধরে তার মালিকানাধীন সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে, আজকেও তারা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের সম্পত্তি দখল করতে আসে। বাঁধা দিলে মোজাম্মেল চেয়ারম্যান তার ভাই দেলোয়ার, চরবাটা গ্রামের হকিরের পুত্র নুর উদ্দিন, চেরাজল হকের পুত্র আবুল কালাম, খায়ের ওরফে খায়ের নেতা (৪০), ফখরুল, চর মজিদ গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র সেন্টু ও সুমন তাদের উপর বর্বর হামলা চালায় ।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেদ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, বিস্তারিত জানতে পারিনি, আমি একটি ধর্ষণ মামলা নিয়ে ব্যস্ত আছি কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত মোজাম্মেল চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি , ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।

ভুক্তভোগীরা এব্যপারে একটি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলেও জানান, সেই সাথে মোজাম্মেল চেয়ারম্যান এবং তার লালিত সন্ত্রাসীর দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, নোয়াখালী পুলিশ সুপার, নোয়াখালী জেলা প্রসাশকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ।

এছাড়াও চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে, ইউনিয়ন পরিষদে বিচারপ্রার্থী নারীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ, শালিসের নামে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারকে মারধর, অবৈধ বালু উত্তোলন, বিচার প্রার্থী এক অসহায় ব্যক্তিকে টয়লেটে আটকে রেখে নির্যাতন, শত শত সরকারি গাছ কর্তনসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বহিষ্কৃত ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ীতে তার বাড়ির কেয়ারটেকারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়, ঘটনাটির সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক সময়ের কণ্ঠস্বর সাব এডিটর, ডেইলি অবজাভারের প্রতিনিধি ও দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের প্রতিবেদক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমনের ওপর হামলা করে মোজাম্মেল চেয়ারম্যান।

পরে সাংবাদিক সুমন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন জিডি নং- ৬১১। এত অপকর্মের মূলহোতা মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের বহিষ্কারের সংবাদে সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরন করে তার কাছে নির্যাতন হওয়া মানুষ ও এলাকাবাসি। স্থানীয়রা মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের সকল অপরাধ আমলে নিয়ে তাকে দ্রুত গ্রেফতার একং শাস্তির দাবি জানান।

Sharing is caring!