মো: সেলিম:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির দেওটি ইউনিয়নে এক কিশোরী (১৫), কে কথিত প্রেমিকসহ চার বন্ধু মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ভিকটিমের কথিত প্রেমিক ফরহাদ হোসেন (২৬), কে স্থানীয় এলাকাবাসী আটক করে ঘটনাস্থল থেকে সোনাইমুড়ি থানার ওসির হাতে সোপর্দ করে। পরে ভিকটিমের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও একই দিন রাত ১০ দিকে (ওসি) মামলা নথিভুক্ত না করে তাঁর নেতৃত্বে সমঝোতা বৈঠক করে ভিকটিমের সাথে ধর্ষকের বিয়ে দেয়ার শর্তে ধর্ষক ফরহাদকে ছেড়ে দিয়ে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা চালায়। পরে গণমাধ্যম কর্মীরা রাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপারকে এ ঘটনা অবহিত করলে বিয়ের আয়োজন চলছিল এ অবস্থা থেকে ওসি পুনরায় ধর্ষক ফরহাদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সে বর্তমানে থানা হাজতে আছে। এর আগে গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে দেওটি ইউপি’র নবগ্রাম গ্রামের বেপারী বাড়ির সুপারি বাগানে এ ঘটনা ঘটে ।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবা রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে সোনাইমুড়ি থানায় নারীও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, সোনাইমুিড়র দেওটি ইউপির নান্দিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল কাদের’র ছেলে ফরহাদ হোসেনের সাথে একই ইউপির পাশ্ববর্তী নবগ্রামের কিশোরীর নানার বাড়ীতে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে মোবাইলে দীর্ঘ ১ বছর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাদে বুধবার রাত ৯টায় মোবাইল ফোনে নবগ্রামের বেপারী বাড়ীর কফিল উদ্দিনের ভাগ্নি কিশোরী (১৫) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কথিত প্রেমিক ফরহাদ হোসেন পাশ্ববর্তী সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। ফরহাদ ও তার বন্ধু নবগ্রামের মৃত আবুল বাসার’র ছেলে সবুজ (২০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীন’র ছেলে নোমান (২০), নবগ্রামের বদরুল আলম’র ছেলে তানজিদ হোসেন (২০), ডুমুরিয়া গ্রামের বেলাল হোসেন’র ছেলে লিমন (২০), ভিকটিমকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর ভিকটিম নিজেই কথিত প্রেমিকের বাড়ীতে রাত ৩ টার দিকে উপস্থিত হলে স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের নজরে আসলে তারা থানায় খবর দেয়। ধর্ষক ফরহাদকে আটক করে সোনাইমড়ি থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি দাবী করেন, ধর্ষক ফরহাদকে আটক এবং ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ধর্ষক ফরহাদকে তার বাড়ী থেকে আটক করা হয়েছে। ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে দেওটি ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, এলাকাবসী অভিযুক্ত ফরহাদকে আটক করে খোদ ঘটনাস্থল থেকে ওসির হাতে সোপর্দ করে।

Sharing is caring!