প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর সেনবাগে ভিক্ষা করে সংসার চালান মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও অস্ত্র জমাদানের সার্টিফিকেট থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি তিনি।

দফায় দফায় ভিক্ষার টাকা সাবেক উপজেলা কমান্ডারের হাতে তুলে দিলেও এখনও মুক্তিযোদ্বার তালিকায় নাম না উঠায় ক্ষুব্দ সহযোদ্ধারা। দেশের মাটিতে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করার আকাংখা শামসুল হকের।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার জামালপুরের শামসুল হক ১৯৭১ সালে তরুন বয়সে ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে শত্রুমুক্ত করতে অন্যাদের সাথে তিনিও ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষন নিয়ে নিজ এলাকা সেনবাগ ও পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেন।

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি শামসুল হক। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও অস্ত্র জমাদানের সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে বিভিন্ন দফতরে বারবার ধরনা দিয়েও স্বীকৃতি না পেয়ে মনের দ:খে ও লজ্জায় এলাকা ছেড়ে চট্রগ্রাম গিয়ে ভিক্ষা করে সংসার চালান তিনি। ইতোমধ্যে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও তার সহযোগীর হাতে ভিক্ষার ৮০ হাজার টাকা তুলে দেন নাম তালিকাভুক্তির জন্য। সেনবাগ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা পাচ্ছেন ৮২৭ জন। আরও ১৯৭ জনকে ভাতার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে। অনেক মুক্তিযোদ্ধার দাবী, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন সাবেক উপজেলা কমান্ডার।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, শামসুল হক মুক্তিযোদ্ধা না হওয়ায় তিনিও মর্মাহত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান কমান্ডারের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, কমান্ডারের পরামর্শ নিলে যে কেউ বিপদে পড়তে পারে। উপজেলার পক্ষ থেকে শামসুল হককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

Sharing is caring!