মো. সেলিম:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মারধর করে স্বপরিবারে বিয়াইকে আটকে রেখে জোর পূর্বক সম্পতি লিখিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি বর্তমান সদস্য মো. হেলাল একই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো.সাহাব উদ্দিন মেম্বার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি’র সহযোগিতায় দিনভর তাদের আটক রেখে গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় জোরপূর্বক বিয়াই তাঁর ঘর-ভিটিসহ ২০ শতাংশ সম্পত্তি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লিখে নেয়।
বর্তমানে মারধরের শিকার গোলাম কিবরিয়া, তার স্ত্রী পেয়ারা খাতুন ও ছেলে মো. জুয়েল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া জানান, গত এক থেকে দেড় মাস পূর্বে তার ছোট ছেলের সঙ্গে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হেলালের মেয়ের বিয়ে হয়। হঠাৎ মেম্বার ফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে বলে তার ছেলে নাকি আরো একটা বিয়ে করেছে। এ কথায় কিবরিয়া প্রতিবাদ করলে মেম্বার ও তার ছেলেসহ তাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে কিবরিয়ার স্ত্রী ও তার বড় ছেলেকেও মারধর করে এবং বাড়িতে আটক করে রাখে। পরে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণিকে ডেকে এনে পুনরায় মারধর করে এবং জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে কিবরিয়ার বসত-ভিটিসহ ২০ শতাংশ জমি আমমোক্তারের মাধ্যমে লিখে নেয়। ভুক্তভোগী পরিবার চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে স্থানীয় বাদামতলী এলাকায় নিয়ে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা মেম্বার ও আ.লীগ নেতাদের ফোন দিলে পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বার বলেন, আমার সামনে বিয়াই কে কোন মারধর করা হয়নি। তবে সম্পতি বিয়াই স্ব-ইচ্ছায় লিখে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি বলেন, আমাদের সামনে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি, যা হওয়ার আগে হয়েছে। বৈঠকে মেয়ের বাবাকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার সিন্ধান্ত হয়েছে। টাকার সিকিউরিটি হিসেবে সম্পত্তি লিখে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. হেলাল বিয়াইকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ সহ সকল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তারা প্রতারক। আগের দুইটি বিয়ের কথা গোপন রেখে আমার মেয়েকে বিয়ে করে ওই ছেলে। তারা বাপ ছেলে মারামারি করেছে। উল্টো আমার টাকায় তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলেও জানান তিনি।

Sharing is caring!