মো. সেলিম:

নোয়াখালীর কবিরহাটে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা (১২), পিতার লালসার শিকার হয়ে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনায় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্ত পিতা মো. লিটন (৩৫), কে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসি। সে উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। এর আগে নবগ্রামস্থ তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী বিষয়টি তাঁর মাকে জানালে, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে অভিযুক্ত পিতাকে শশুর বাড়ির লোকজন মেয়ে অসুস্থ্য বলে তাকে ডেকে নিয়ে আটক করে মারধর করে। পরে সোমবার সকালের দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শশুর বাড়ির লোকজন তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত পিতাকে আসামী করে কবিরহাট থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়ের মা অনত্র বেড়াতে গেলে বাবা ঘরে থাকে। মায়ের অনুপস্থিতিতে বাবা তার ১২ বছরের কিশোরী মেয়েকে গত ৩ মাস যাবত ধর্ষণ করলে সে অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি মা টের পেয়ে মেয়েকে সন্দেহ করলে মেয়ে মাকে তার বাবার অবৈধ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। কিন্তু মা প্রথমে বিশ্বাস করতে না পারলেও পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পিতাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নির্যাতিতা কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Sharing is caring!