মো. সেলিম:

নোয়াখালীর মাইজদী কোর্ট স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে রেলওয়ের সরকারি গাছ কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি ছাড়া কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি মহলের বিরুদ্ধে।

 

পরে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে অভিযোগ পেয়ে কুমিল্লা লাকসাম রেলওয়ের নিরাপত্তা চৌকির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

 

জানা যায়, গত মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে রেলওয়ের সরকারি ২০ থেকে ২২ টি মেহগনি ও কড়ই গাছ কাটা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২-৩ লক্ষ টাকা।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা লাকসাম রেলওয়ের নিরাপত্তা চৌকির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে এবং মাইজদী কোর্ট স্টেশন মাষ্টারের জিম্মায় গাছগুলো রাখা হয়েছে। মাইজদী কোর্ট স্টেশন মাষ্টার শফিকুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত দুই দিনে গাছগুলো কাটা হয়েছে, তবে কারা কেটেছে জানতে চাইলে তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।তবে গাছ কাটার সময় তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানা যায়।

সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়,রেলওয়ের এই জায়গা এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম নামক একজন লিজ নেয়।এরপর তিনি এই গাছগুলো নিজ হাতে রোপন করেন।তখনই তিনি এই গাছগুলি রেলওয়ে মসজিদকে দান করার কথা ঘোষণা করেন।কিন্তু বড় হওয়ার আগেই গাছগুলো কেটে সাফ করে ফেলে প্রভাবশালী মহল।এডভোকেট কামরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়,গাছ কাটার ব্যপারে তিনি কিছুই জানেননা এবং তাকে কেউ এই ব্যাপারে অবহিত করেননি।তিনি গাছ কাটার সময় ঢাকায় অবস্হান করছিলেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান।

স্থানীয় জনগন সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

Sharing is caring!