বিশেষ প্রতিনিধি

.

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিষিদ্ধ স্বাস্থ্যবর্ধক সাইপ্রোহেপটাডিন হাইড্রোক্লোরাইড ও ডেক্সামিথাসন ওষুধ বিক্রির দায়ে নুর ফার্মাসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মোট ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

.

মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

.

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসমাইল হোসেন। এসময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. শেখ আহসান উল্যাসহ সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

.

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ওষুধ দোকান গুলোতে অবৈধ ও নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পায় উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে
নুর ফার্মেসিকে ১৫ হাজার, হোসেন ফার্মেসিকে ২ হাজার, আশ সিফা ফার্মেসিকে ৫ হাজার, সুবাস দাস ফার্মেসিকে দুই হাজার, মজুমদার আয়ুর্বেদিককে ৩ হাজার, শাহী ফার্মেসিকে ৫ হাজার ও আয়েশা মেডিকেল হলকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  এসময় অবৈধ ও নন ব্যান্ড এর ঔষধ জব্দ পূর্বক জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

.

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

.

তিনি বলেন, অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির দায়ে নুর ফার্মাসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

.

ইউএনও মো. ইসমাইল হোসেন আরও বলেন,ফার্মাসিগুলোতে বেশিরভাগ নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এসব ওষুধ মানবদেহের জন্য সব থেকে বেশি ক্ষতিকর। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। ফার্মেসি গুলো থেকে বিক্রয় নিষিদ্ধ জব্দ করা অবৈধ ওষুধ সবার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও মো. ইসমাইল হোসেন।

.

Sharing is caring!