মো. সেলিম:

সরকারের দেয়া ঘোষনা অনুয়ায়ী ০৯-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ থাকায় নোয়াখালীতে ইলিশ মাছ বিক্রির দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়।

 

বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় জেলা শহর মাইজদী পৌর বাজারে মা-বাবার দোয়া মাছের আড়ৎ ও ব্যাবসায়ী আবু তাহের (৪০) কে মৎস্য সংরক্ষন আইন ১৯৫০ এর ৪ দ্বারা অনুযায়ি জরিমানা দুই হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়।

 

ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার জানান, সরকারের নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ বে-আইনী ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। তিনি আরো জানান, সকালে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও তার অফিস সহকারীরা বাজার মনিটরিং করার সময় ইলিশ মাছ বিক্রয়কালে একজনকে আটক করেন।

 

পরে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যাবসায়ীকে জরিমান করি এবং উদ্ধারকৃত ইলিশ মাছ গুলো বিভিন্ন এতিমখানার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। উক্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, সুধারাম মডেল থানার এস আই নেপাল ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।

 

উল্লেখ্য মাছগুলো ধন্যপুর এতিমখানা মাদ্রাসা, নোয়ান্নই রহমানিয়া মাদ্রাসা, জেলা জামে মসজিদ এতিমখানা মাদ্রাসা, মাদানীয়া এতিমখানা, ধর্মপুর হাজির হাট এতিমখানা, পূর্ব চরমটুয়া এতিমখানা, চরমটুয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, মাইজদী রেলওয়ে ষ্টীশন দারুল উলূম মাদ্রাসায় পাঠানো হয়।

Sharing is caring!