Featured Video Play Icon

জিহাদ সুলতানঃ

 

গত কয়েকদিন থেকেই নোয়াখালীতে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তার কারন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। যার জন্য পুরো নোয়াখালী জুড়েই জমায়েত হয়েছে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ও অবিভাবক।

 

তাদের আতিথেয়তায় ব্যাস্ত পুরো নোয়াখালীবাসী। তাদের জন্য ব্যাবস্থা করা হয়েছে বিনামূল্যে থাকা খাওয়া এবং যাতায়াত ব্যাবস্থা সহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা।

 

যার মধ্যে সবচাইতে বেশি অবদান রয়েছে নোয়াখালীর মাটি ও মানুষের নেতা নোয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দীন জেহান, নোয়াখালী পৌরসভার সফল মেয়র শহীদ উল্যাহ খাঁন সোহেল।

 

তারা সকলে তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে নোবিপ্রোবিতে ভর্তি পরিক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় থাকা এবং নিজস্ব বাবুর্চি দ্বারা তিন বেলা খাওয়ারের ব্যবস্থা করেছে। তার পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে বিনামূল্যে কয়েক হাজার বোতল বিশুদ্ধ পানি।

 

এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ বিশেষ করে ফেইসবুকে নোয়াখালীর জনপ্রিয় গ্রæফগুলো তাদের এডমিন মডোরেটর এবং সেচ্ছায় কাজ করতে চায় এমন কিছু সেচ্ছাসেবক নিয়ে নোয়াখালীর প্রানকেন্দ্র মাইজদীতে ও অন্যান্য জায়গায় তাদের তথ্য কেন্দ্র খুলে।

 

সকলেই নিজ নিজ জায়গা থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে। পুরো নোয়াখালী শহর জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শতাধিক এর অধিক তথ্য কেন্দ্র যেখানে নিয়োজিত আছে কয়েক হাজার সেচ্ছাসেবক।

 

সব মিলিয়ে প্রায় কয়েক হাজার সেচ্ছাসেবক মাঠে ছিল যারা রাতদিন ২৪ ঘন্টায় নিজেদের কথা চিন্তা না করে নোবিপ্রোবিতে পরিক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সেবায় নিয়োজিত ছিল।

 

সেচ্ছাসেবক ভাইদের কথা না বললেই নয়। নোয়াখালীর পুরো শহর জুড়েই ছিল তাদের আনাগোনা। এছাড়া নোয়াখালীর প্রত্যেকটা স্কুল কলেজ ,মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ছিল তাদের অবস্থান। দিনে রাতে ২৪ ঘন্টায় যখনই যেখানে শিক্ষার্থী বা অবিভাবক দেখতে পেয়েছে তাদের সাথে কথা বলে তাদের থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করেছে আর যাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেনি তাদেকে আমাদের সেচ্ছাসেবক ভাই ও বোনেরা তাদের নিজ নিজ বাসায় থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

 

সেচ্ছাসেবক ভাই ও বোনেরা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই মুলত শিক্ষার্থীরা তাদের পরিক্ষা সফলভাবে সম্পূর্ণ করতে পেরেছে। গত দুইদিন ধরেই রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন রঙের গেঞ্জি, টি-শার্ট পরিধান কওে ট্রাফিক পুলিশকে সাহায্য করে এবং জানযট নিরসনে সহায়তা করেন।

 

এছাড়াও মানবিক ব্লাড ফাউন্ডেশন নোয়াখালীর পক্ষ থেকে নোবিপ্রোবিতে পরিক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও অবিভাকদের জন্য সার্বক্ষনিক ডাক্তার এবং চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়।

 

পাশা পাশি আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতো ছিলোই। তাদের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সব জায়গায়। এর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রতিনিয়ত রাস্তায় পানি দিয়ে যাচ্ছে যাতে করে রাস্তায় ধুলাবালি না উড়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা না হয়।

শুধু যে সেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা দায়িত্বে আছেন তা ঠিক নয় তাদের পাশাপাশি রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও তাদের নিজথেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পরিক্ষার্থীদের জন্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে।

 

সব মিলিয়ে নোয়াখালীর সকল স্তরের মানুষের এই আয়োজন নোয়াখালীকে বিশ্ব দরবারে একটি প্রসংশনীয় স্থানে নিয়ে গিয়েছে।

Sharing is caring!