মো. সেলিম:

নোয়াখালী বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) তে আবাসিক হল ভাংচুর ও শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কারসহ মোট ৪১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে রিজন বোর্ডের এক মিটিং শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নিয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৈঠকে ১৬ জনকে ০৬ মাসের জন্য বহিষ্কার, ০৭ জনকে ২০ হাজার টাকা, ১২ জনকে ০৫ হাজার টাকা, ০২ জনকে সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১লা সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে প্রকাশ্যে ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

একপর্যায়ে পরিস্থিতি বড় আকার ধারণ করে। পরে এ নিয়ে রোববার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম হলে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

উভয় পক্ষ একে অপরকে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন আবার তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এ সময় আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড.ফিরোজ আহমেদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আল আমিন শিকদার হামলার শিকার হন।

একই সাথে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রæপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হলের ১৫/২০টি রুমের দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল, ফুলের টব এবং বাথরুমের বেসিন ভাঙচুর করে। এসময় হলে থাকা ছাত্রদের ল্যাপটপ, মোবাইল ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। এতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় দোষী সকল শিক্ষার্থীদের নাম ও পরিচয় গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানান।

Sharing is caring!