মো: সেলিম :

নােয়াখালী থেকে তিন রােহিঙ্গা তরুণের পাসপাের্ট করার ঘটনায় পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি)”র দুই সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএস আই) আবুল কালাম ও নুরুল হুদাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মাে: আলমগীর হােসন জানান, শনিবার রাতে এ আদেশের পর তাদেরকে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

গত ৬ সেপ্টম্বর বাংলাদেশি পাসপাের্টধারী তিন রােহিঙ্গা তরুণকে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দালাল ধরে নােয়াখালী”র আঞ্চলিক পাসপাের্ট অফিস থেকে পাসপাের্ট করার কথা স্বীকার করে। ওই তিন যুবক তাদের পাসপাের্ট আবদনে নিজেদেরকে জেলার সেনবাগ উপজলার কাদরা ইউনিয়নের বাসিন্দা দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ জমা দেয়।

কাদরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মােহাম্মদ কামরুজ্জামানের দাবি, তিনি রােহিঙ্গা তরুণের নামে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও নাগরিকত্ব সনদের কপি পাসপাের্ট অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে, তবে সবরকম সনদ তারা দেননি। তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যুর তারিখ দেখানাে হয়েছে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদর নিবন্ধন রেজিস্ট্রার বা অনলাইন সার্ভারে এর কােনা অস্তিত্ব নেই।

মুসা ও আজিজের নামে দুটি নাগরিকত্ব সনদেই সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে ১৪৮৭। অথচ একটি নম্বর একাধিক সনদে দেওয়ার কোন সুযােগই নেই। চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমরা অনলাইনে দেখছি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদগুলা ইস্যু করা হয়নি। এটা সম্পুর্ণ ভুয়া এবং জালিয়াতি।

পুলিশ সুপার মাে: আলমগীর হােসেন জানান, সরজমিনে ওই ঠিকানা যাচাইয়ের পর নােয়াখালী আঞ্চলিক পাসপাের্ট অফিসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন, ডিএসবি’র এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদা।

গত বহস্পতিবার এ বিষয়ে এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে কারণ দর্শানাের আদেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার তাদের কাছ থেকে পাওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

এসপি আরো জানান, বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাে: শাহজাহান শেখকে পুরাে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সােমবার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Sharing is caring!