এনকে টিভি প্রতিবেদক:

 

গত ৯ ডিসেম্বর নাগরিক টিভিতে প্রচারিত নোয়াখালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য,ভাষা ও সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে কুমিল্লা জেলার তথাকথিত পরিচালক স্ম্যাক আজাদ কর্তৃক নির্মিত “নোয়াখালী বিভাগ চাই নামক নাটকটি প্রচারিত হয়।

যে নাটকে নোয়াখালী ইতিহাস-ঐতিহ্য,ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিকৃত করে সমগ্র নোয়াখালীবাসীকে চরমভাবে অপমান করা হয়। উক্ত নাটকটি প্রযোজনা করে এন আর মিডিয়া। এতে করে সমগ্র নোয়াখালীবাসীর মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠে এবং সন্মিলিতভাবে এই নাটকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সকালে নোয়াখালীর সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন “নিরাপদ নোয়াখালী চাই এর উদ্যোগে বিতর্কিত নাটকের পরিচালক স্ম্যাক আজাদসহ তার দোসরদের বিরুদ্ধে নোয়াখালীবাসীর পক্ষে বাদী হয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন নিরাপদ নোয়াখালী চাই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুর রহমান রাসেল। বাদী পক্ষের মামলার আইনজীবী ছিলেন আশ্রাফুল ইসলাম মাসুদ, মামলায় বিজ্ঞ জেলা জজ তথ্য মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলা দায়ের শেষে অভিযুক্ত আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তৃণমূল নোয়াখালীবাসীর অংশগ্রহণে হাজারো মানুষের ঢল নামে শহরের টাইন হল মোড় সংলগ্ন প্রধান সড়কে। হাজারো জনতার উপস্থিতিতে সেখানে মানববন্ধন, র‌্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

“নিরাপদ নোয়াখালী চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে, নিরাপদ নোয়াখালী চাই বেগমগঞ্জ উপজেলা শাখায় প্রধান সমন্বয়ক এ.আর টিটুর সঞ্চালনায় আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, প্রিন্সিপাল মোঃ সামছুদ্দিন, নোয়াখালী টিভির পরিচালক আবদুল হামিদ রনি, নিরাপদ নোয়াখালী চাই সদর উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক মিজানুর রহমান, নিরাপদ নোয়াখালী চাই নোবিপ্রবি শাখার সভানেত্রী মাহমুদা আক্তার, সভানেত্রী আফসানা সোমা, সমন্বয়ক সুমি আক্তার, মিতু মাহী, নাইম রাসেল, ডা.শাহাদাৎ, মাসুদ প্রমুখ। এছাড়াও নোয়াখালীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্ম্যাক আজাদ তার নির্মিত নাটকে আমাদের প্রানের নোয়াখালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতিকে অত্যন্ত বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করেছে সমগ্র বাঙ্গালী জাতির সামনে, যা সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

যে নাটকে প্রকৃতভাবে আমাদের নোয়াখালীর কোনো দৃশ্যপট ফুটে উঠেনি, দেখানো হয়নি নোয়াখালীর বীর সন্তানদেরকেও, ফুটিয়ে তোলা হয়নি নোয়াখালীর শত বছরের পুরনো ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা সংস্কৃতিকে।

শুধু তাই নয়, উক্ত নাটকে রাজপথে নোয়াখালীর তরুণদের বিভাগ আন্দোলনকে শুধুই ফাতরামি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা নোয়াখালীর তরুণ প্রজম্ম সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের হৃদয়কে দারুন ভাবে ক্ষতবিক্ষত ও আহত করেছে।

Sharing is caring!