সুবর্নচর প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার ১ নং চর জব্বর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চর পানাউল্যা গ্রামে ধর্ষণ করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা খেয়েছেন ধর্ষক জহির(২৮)।ধর্ষক জহির চর জব্বর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রুবেলের ভাই। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
..
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,ধর্ষক জহির চট্রগ্রামে টাইলসের কাজ করে।দীর্ঘদিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়শই এলাকায় আসলে মেয়েটিকে ধর্ষন করতো।এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হতো।গতকাল ধর্ষন করার উদ্দেশ্যে আবারও মেয়ের এলাকা ৭ নং চর পানাউল্যা কলিজা পঁচা দের বাড়িতে অবস্থান নেন জহির।একপর্যায়ে ধর্ষনরত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং সারারাত তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।সকালে স্হানীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক কে জানালে তিনি আসামীকে পুলিশে সোপর্দ করতে নিষেধ করেন এবং তিনি বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে জানান এলাকাবাসী।
.
স্হানীয় সুত্রে আরো জানা যায়,ধৃত জহির ২ নং চর হাসান গ্রামের ডিব্বা সেলিম বাড়ির সেলিমের ছেলে।তার ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেল ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা।সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেন রুবেল আর তার পরিবার।স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।দলীয় কর্মীদের হামলা-মামলা সহ নানা ভাবে হেনস্তা করেন।তার অত্যাচারে বহু মানুষ এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে।
.
ধর্ষক জহিরকে বাঁচাতে স্হানীয় চেয়ারম্যান আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আপোষ মিমাংসায় নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।

Sharing is caring!