মো. সেলিম:

“তৃণমূলে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে ইউপি’র গ্রাম আদালত মানুষের কল্যাণে কাজ করবে” মন্তব্যে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেছেন, গ্রাম আদালতের আইনগত কাঠামোতে যেনো গ্রামের মানুষ হয়রানির শিকার না হয়। সে লক্ষে আইনগত কাঠামো পর্যবেক্ষণে তৃণমূলে কাজ করা অংশীজনদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

গতকাল ‍বিকেলে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের অধীনে গ্রাম আদালতের আইনগত কাঠামো : তৃণমূলে অংশীজনদের পর্যবেক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রসাশক একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ গ্রাম আদালতে আইনগত বিষয়, আইনের অধিকার, আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখলে বা তাদের মাঝে এসব বিষয়ে স্বচ্ছ প্রচার-প্রচারণা চালালে মানুষ গ্রাম আদালত বিষয়ে আগ্রহী হবে।

দেখা যায়, তৃণমূলে অনেক সময় অতি তুচ্ছ বিষয়ের কারণে বড় ধরনের সম্পর্কিক ফাটল দেখা দেয়। ক্রমে ক্রমে বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তখন অকেনেই থানা-পুলিশ ও কোর্টের দারস্থ হয়। কিন্তু এ ধরণের বিরোধ থানা-পুলিশ বা কোর্ট চত্বরে গেলে দূরত্ব আরো বৃদ্ধি পায়। এসব সম্পর্কিক বিরোধ মীমাংসার গ্রাম আদালতেই সম্ভব।

সভায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের নোয়াখালীর ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর এএইচএম আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন,  স্থানীয় সরকার নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রউফ মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও গ্রাম বিষয়ক প্রশিক্ষক তারিকুল আলম, সহকারী সিনিয়র জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা আবু ইউসুফ, প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা ব্লাষ্টের জেলা সমন্বয়কারী আজগর আলী আরজু প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টিনা পাল, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহম্মেদ, সূবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম ইবনুল হাসান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. রোকনুজ্জামান খান সহ আইনজীবী ও জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ। 

Sharing is caring!