মো. সেলিম:

ঢাকা বিমান বন্দরের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে ব্যবসায়ী বদরুল আলম শ্যামলসহ ১৫ আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালত।

মামলা খারিজ দীর্ঘ শুনানির পর সাক্ষ্য প্রমাণে কোন সতত্য না পেয়ে ব্যবসায়ী বদরুল আলম শ্যামলসহ ১৫ আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

চলতি বছরের ৮ জুলাই ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এ রায় দেন। একই সময়ে ফৌজদারী কার্য বিধির ২৪৯ ধারা মোতাবেক অত্র মামলার সকল কার্যক্রম স্থাগিত করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে ঢাকা বিমান বন্দরের স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিমান থানায় ১৫জন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ব্যবসায়ী বদরুল আলম শ্যামলকে ষড়যন্ত্র করে অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

দীর্ঘ ৪ বছরের তদন্ত ও শুনানি শেষে কোন সত্যতা না পেয়ে অবশেষে মামলাটি খারিজ করা হয়। এ মামলার অন্যতম আসামী বদরুল আলম শ্যামল লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য। তিনি সদর উপজেলা হাজিরপাড়া ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আলম ভূইঁয়ার ছেলে।

শ্যামল জানান, আমি রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে ঢাকার বিমান বন্দর এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। স্থানীয় কিছু লোক রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক প্রতিহিংসায় ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে।

অবশেষে আদালতের কাছে বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়। বদরুল আলম শ্যামলের মুক্তিযোদ্ধা বাবা ছিলেন জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকতা। আগাগোড়া আওয়ামীলীগ পরিবারে বেড়ে ওঠা শ্যামল ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত। যেগুলোর মধ্যে তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক, চন্দ্রগঞ্জ থানা সমিতি ও অসহায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি।

Sharing is caring!