এনকে টিভি ডেস্ক

এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে মহামারি করোনা। এখনো সেই তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মরছে করোনায়। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে আশার কথা হলো, বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আবিষ্কার হয়েছে করোনা টিকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার (২৭ জানুয়ারি)।

 

কিন্তু টিকার প্রয়োগ শুরু হলেই কি সবকিছু স্বাভাবিক হবে? সবাই কি এখনই আগের মতো মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে? এখন কি আর মাস্ক পরতে হবে না? এখন কি আর সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে না? অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন জাগতে পারে। এখন দেখা যাক এ বিষয়ে কী বলেন।

 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিকা নেয়ার পরও মাস্ক পরতে হবে। এখনো আগের মতো সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। মূলত দুটি কারণে তারা এসব বিষয় মেনে চলতে বলেছেন।

 

তারা বলছেন, দুটি ধাপে করোনার ভ্যাকসিন নিতে হয়। ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। মডার্নার টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। অন্যান্য কোম্পানির টিকার ক্ষেত্রেও প্রায় একই কথা প্রযোজ্য।

 

এছাড়া টিকা নেয়ার পরপরই তার কার্যকারিতা পাওয়া যায় না। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা হলো, তারা প্রথম ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পরই সুরক্ষা পেতে চান। কিন্তু সম্পূর্ণ সুরক্ষা পেতে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 

এপি নিউজ জানায়, করোনা টিকা শুধু করোনার উপসর্গ থেকে সুরক্ষা দেবে নাকি করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেবে তা এখনো জানা যায়নি। তার মানে টিকা নেয়ার পরও কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও সেই সম্ভাবনা খুব কম বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ দেবোরাহ ফুলার।

 

এ কারণে বলা হচ্ছে, এখনো যেহেতু টিকার শতভাগ কার্যকারিতা নিয়ে কোথাও কোথাও দ্বিমত রয়েছে, তাই সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ অন্যান্য সুরক্ষাবিধি সবাইকে মেনে চলতে হবে।

 

এদিকে বিশ্বে একদিনে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৮৬ হাজার ৪২৫ জনে। একদিনে শনাক্ত হয়েছে প্রায় ছয় লাখ মানুষ। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৬ জনে।

 

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৮৭ জনে। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৫০৯ জন।

 

Sharing is caring!