মো. সেলিম:

নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচরে জমি নিয়ে শত্রুতার জের ধরে কৃষকের বসত ঘরে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ বিরোধে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচ নারী আহত হয়েছে। পুড়ে গেছে ধান-চাল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র।

উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম আন্ডারচর গ্রামের সুলতান ব্যাপারী বাড়িতে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন- মাইনুর বেগম (৩৫), লাইজু আক্তার (২০), কামরুন নাহার (১৫), সাহিনুর বেগম (৩৭) ও বিবি আয়েশা (৪০)।

ভোক্তভোগী কৃষক আলমগীর হোসেন ও স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবেশী রুহুল আমিনদের সাথে জমি নিয়ে তার বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রুহুল আমিন এবং তার সহযোগী কালু মিশরী, জাহাঙ্গীর, ইসমাঈল, দিদার, নুর উদ্দিন সহ সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আলমগীরের বসত বাড়িতে হামলা করে। এসময় বাড়ির মহিলারা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা মহিলাদের শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে তাদের শোর-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত মাইনুল বেগম, লাইজু আক্তার, কামরুন নাহার, সাহিনুর বেগম ও বিবি আয়েশাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে এদের মধ্যে লাইজু এবং বিবি আয়েশার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের দুইজনকে ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে আলমগীরের বাড়ির লোকজন আহতদের নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করায় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা বুধবার গভীর রাতে তার বাড়ির বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসার আগেই আগুনে ওই ঘরে থাকা অর্ধশতাধিক মন ধান-চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা, সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্রসহ বাড়ির দলিলাদি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন ঘটনাটি জমি সক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা চলছে। মিমাংশা না হলে মামলা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!