এনকে টিভি প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম’র তৎপরতায় পন্ড হলো ১১ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নের সাধুরখিল গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

চাটখিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, আগামীকাল ওই ছাত্রীর ফর্দ হওয়ার কথা ছিল। এজন্য কনের নানী তার নানার বাড়ি থেকে তাকে লক্ষীপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৎপরতায় ওই শিক্ষার্থীর মাদ্রাসা থেকে প্রায় দুই থেকে তিনশত ছাত্রছাত্রী বাল্যবিবাহ বিরোধী স্লোগান দিয়ে কনেপক্ষের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ একাধিক উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কনের অভিভাবকদের বুঝিয়ে কনেকে লক্ষীপুর তার আত্মীয় বাড়ি থেকে আবার নানার বাড়িতে হাজির করে এবং ফর্দের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় তার প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেয়া যাবেনা মর্মে অভিভাবকদের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নের সাধুরখিল গ্রামের সাধুছি সর্দার বাড়ির হেনজু মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় সাধুছি এ আই দাখিল মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর তার মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ার পর শিশু বেলা থেকেই নানা লিয়াকত আলী ও নানী রশিদা খাতুনের সাথে সাধুরখিল গ্রামের সর্দার বাড়িতে বড় হয় সে। স¤প্রতি তার নানী তার বিয়ে ঠিক করে এক শ্রমিকের সাথে। মুনিয়া এই বিয়েতে রাজি না হয়ে তার মাদ্রাসার সুপারকে বিষয়টি জানান। বিষয়টি জটিল হতে দেখে তার নানী পাশ্ববর্তী লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলার হাজির পাড়াতে তার আত্নীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে। এদিকে মুনিয়ার সহপাঠিরা বিষয়টি জানতে পেরে এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে তারা সোমবার সকাল ১২টার দিকে বিক্ষোভ সহকারে গিয়ে মুনিয়ার নানার বাড়ি ঘেরাও করে।

 

  • এনকে টিভি/বি/এস/এম/এস

Sharing is caring!