এনকে টিভি ডেস্ক রিপোর্ট:

 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে শেখ হাসিনার “নো কম্প্রোমাইজ” বলাতেই প্রমাণিত হয় বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার জেদ ও প্রতিহিংসার কারণেই কারাগারে বন্দি হয়ে আছেন। সেক্ষেত্রে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া কেবল মুখোশমাত্র। বেগম খালেদা জিয়ার বিয়োগান্তক পরিণতি না ঘটানো পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পূরণ হবে না। এ কারণেই বিনা অপরাধে বেগম জিয়াকে ধুকে ধুকে মারার জন্য তাকে বন্দি করে ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর ছক আঁটা হচ্ছে। তবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর শর্তই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এ কারণেই তরুণদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

শুক্রবার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

রিজভী বলেন, আগের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী তিস্তার আধা লিটার পানিও আনতে পারেন নাই। সমতার ভিত্তিতে আদায় দূরে থাক, ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনা একটা কানাকড়িও আদায় করতে পারেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখেই বলেছেন, আমরা ভারতকে অনেক কিছুই দিয়েছি। কিন্তু কি দিয়েছেন তা জনগণ এখনও জানে না। জনগণ শুধু জানে ভারত থেকে কিছু আদায় করতে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন।

 

রিজভী আহমেদ বলেন, কোনো কোনো মন্ত্রী অতিউৎসাহী হয়ে বলছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভাই-বোনের মতো। কিন্তু কে স্বামী কে স্ত্রী বা কে বোন কে ভাই সেটি উল্লেখ করেননি, জনগণও এটি জানতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে সমতার ভিত্তিতে লেনদেন সম্ভব। কিন্তু নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করলে কেউই পাত্তা দেয় না।

মিছিলে অন্যদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রাজিব আহমেদ, সহ-সভাপতি মাহামুদুল হাসান বসুনিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ রানাসহ বিভিন্ন থানা ও কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

 

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

Sharing is caring!