মো. সেলিম:

জানা যায়, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রথমে ৫জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আরও ১জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ পাওয়া খবরে এ ঘটনায় শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতার ছেলে প্রিয়মকে আটক করে। পরে তার ভাষ্যমতে, তার বাবা স্পিরিট বিক্রেতা ডা. জায়েদ উল্যাহ কে শনিবার ভোর রাতের দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল আহমদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্তের হোমিও দোকান তল্লাশি করে উপজেলা ও থানা প্রশাসন দোকানটি সিলগালা করে দিয়েছে। এসময় নিষিদ্ধ স্পিরিটসহ হোমিও প্যাথিক ওষুধ জব্দ করা হয়েছে এবং জব্দকৃত ওষুধ পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হবে।

নিহতরা হচ্ছে, উপজেলার মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমদ’র ছেলে মহিন উদ্দিন (৪০), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের বাঁশ ব্যাপারী বাড়ির নুর নবী মানিক (৫০), পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের ক্ষিরত মহাজন বাড়ির অনিল রায়’র ছেলে রবি লাল রায় (৫৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকার আবদুল খালেক (৭২), সিরাজপুর ইউনিয়নের মতলব মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন সবুজ (৬০), উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হিয়াল্লাদের বাড়ির ক্যাপ্টেন রহমান বাড়ির ক্যাপ্টেন রহমান’র ছেলে ওমর ফারুক লিটন (৫২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পুলিশ জানার আগেই নিহত ৩জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রবি লাল রায় ও মানিকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দোকানের মালিক জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম দীর্ঘ অনেক বছর অনেকটা খোলামেলা ভাবে এ হোমিও হল দোকানে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছে। সে এই স্পিরিট বিক্রির টাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মাণ করছে বহুতল ভবন।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান, ৫ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একাধিক সূত্রে বিভিন্ন স্থানে স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর খবর শুনে নিহত ৫জনের বাড়ি পরিদর্শন করি। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তিতে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Sharing is caring!