মো. সেলিম:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে রফিক হোমিও হল নামের একটি দোকান থেকে হোমিও রেকটিফাইড স্পিরিট পান করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করায় ৪৬দিন পর ৪জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

নোয়াখালী জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তন্ময় দাস স্বাক্ষরিত ১৩ নভেম্বর তারিখের স্মারক নং ০৫.৪২.৭৫০০.০০০.৭৮.০০২.১৯.৭৭৮ এ আদেশে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হয়। এ নিরিখে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রোকনুনজ্জামান খানকে নিয়োগ দিয়েছেন।

লাশ উত্তোলন বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নোয়াখালীর নেজারত ডেপুটি কালেক্টর এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই (নি:) শিশির কুমার বিশ্বাসকে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করেছেন নোয়াখালী জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক।

যে ৪জনের লাশ উত্তোলন করা হবে তারা হচ্ছেন, চরকাঁকড়া গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক (৭০), সিরাজপুর গ্রামের রইসুল হকের ছেলে সবুজ (৪৫), মোহাম্মদ নগর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে ড্রাইভার মইন উদ্দিন (৪০) এবং বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে রাইটার ওমর ফারুক লিটন (৫০)।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জমান খান’র ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আগামী (২০ নভেম্বর) এর পরে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বসুরহাট পৌরসভার “রফিক হোমিও হল” থেকে রেকটিফায়েড স্পিরিট ক্রয় করে (নেশা হিসেবে) পান করে নুরনবী মানিক, ওমর ফারুক লিটন, রবি লাল দে, মোঃ সবুজ, মহিন উদ্দিন ড্রাইভার ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকসহ ৬ জন মৃত্যু বরণ করে।

নুরনবী মানিক ও রবি লাল দে’র লাশের ময়না তদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। অপর ৪জনের ময়না তদন্ত ছাড়ায় লাশ দাফন করায় আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ উত্তোলন করার বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ দিয়েছেন। স্পিরিট পানে ৬জনের মৃত্যুর ঘটনায় রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম নোয়াখালী কারাগারে আটক রয়েছেন।

Sharing is caring!