মো. সেলিম:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের প্রভাষক মিনারুল ইসলাম’র বিরুদ্ধে দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

পরে এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর স্বজনেরা সরকারি মুজিব কলেজ’র অধ্যক্ষ প্রফেসর জিয়া উদ্দিন চৌধুরী’র কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে।

এ বিষয়ে সরকারি মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জিয়া উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ছাত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রথমে আমরা এক পক্ষের অভিযোগ শুনেছি। পরে আমরা দুই পক্ষকে ডেকে যা করার ইন্টারন্যালি করতেছি। তবে এটা ভুলবুঝাবুঝি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ’র উপাধ্যক্ষ সেতারে বেগমকে অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রভাষককে ভবিষ্যতে আচরণের ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। অধ্যক্ষ প্রভাষকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে,তিনি ইন্টনশন্যালী কিছু করেন নাই।

অপর দিকে নাম প্রকাশে অইচ্ছুক, বিশ^স্ত একাধিক সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষকে চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে আপাতত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে উপাধ্যক্ষ সেতারা বেগম’র ফোনে যোগাযোগ করলে, প্রথমে তিনি দাবি করেন তাকে এ বিষয়ে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয় নাই। পরে আবার তিনিই বলেন, আমি ছাত্রীর সাথে ও তার অভিভাবকের সাথে কথা বলেছি। এটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। ঘটনাটি আমরা মিটমাট করে দিয়েছি। এটা আমাদের ইন্টারন্যাল বিষয় আমরা সুন্দর করে ম্যানেজ করতেছি, এখানে তৃতীয় পক্ষ আসা ঠিক নয়। এটা কোন সমস্যার কোন বিষয় না, অভিযোগ ও তেমন কোন বিষয় না। শেষে তিনি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অভিযোগটি দুই জনের জন্য সেনসিটিভ বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তেমন কিছু হয় নাই বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক মিনারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা গতকাল মিউচুয়াল করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি আরো দাবি করেন, অভিযোগটি ভিত্তিহিন। এ অভিযোগে তিনি নিজেও মর্মাহত বলে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে ভুক্তেভোগীর স্বজনরা সামাজিক মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে গণমাধ্যম কর্মিদের এড়িয়ে যান।

Sharing is caring!