প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী এক নারীকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

নির্যাতনের শিকার রিমি অভিযোগ করে বলেন, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়াম্যান হাজী সফি উল্যাহ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী এবং তার মাকে পরবর্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রাখা হয় প্রায় ৪ ঘন্টা।

নির্যাতনের শিকার সাবিনা ইয়াসমিন রিমি জানান, গত আগস্ট মাসে জন্ম নিবন্ধনের কার্ড করতে চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে, বোর্ড অফিসের তথ্য সেবা কর্মকর্তা রিয়াদ তার ওপর হামলা চালায়। এ হামলার বিচারের দাবি করে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন সে। আজ রোববার সকালে ওই অভিযোগ পত্রে হামলার সত্যতার পক্ষে স্বাক্ষর নিতে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গেলে চেয়ারম্যান তার স্বামী রিয়াদের পক্ষ নিয়ে প্রথমে তাকে এবং তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে, পরে মোটা একটি লাঠি দিয়ে তার চোখে আঘাত করে। এরপর চৌকিদার আবদুরবসহ অজ্ঞাত এক যুবককে তার ওপর লেলিয়ে দেয়।

চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চৌকিদার আবদুরব ও অজ্ঞাত এক যুবক ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে।
নির্যাতনের শিকার সাবিনা ইয়াসমিন রিমা আরও জানান, তাঁর স্বামী রিয়াদ হোসেন চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাকরি করে।

পরিবারে অমতে রিয়াদের সাথে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার বিয়ে হয়। পরে রিয়াদ আমাকে তার বাড়িতে তুলে নিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি। ওই মামলা এখনো চলমান। পূর্ব শক্রতার জের ধরে তথ্য সেবা কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রেখে এ নির্যাতন চালিয়েছে।

এ বিষয়ে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সফি উল্যাহ, লাঠি দিয়ে আঘাত করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি খারাপ মেয়েদের একটু থেডিং দিয়ে ঠিক করতে না পারি,তাহলে আমরা কিসের জনপ্রতিনিধি। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে শাসন করতেই পারেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আরিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sharing is caring!