নিজেস্ব প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য নুর মোহাম্মদ হিরণ (২১) কে হাত-পা বেঁধে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (২৭আগষ্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চরএলাহী বাজারের পূর্ব পার্শ্বে কলেজ ছাত্রীর বসত বাড়ির সামনে রাস্তার উপর।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা মেম্বারের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া রিতুকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণির ভাই যুবলীগ কর্মী বাহার বিভিন্ন সময় উত্তাক্ত করত। কিছুদিন পূর্বে রিতুর পরিবারের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিত ভাবে তার উপর এ হামলা চালান তারা।

আহত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সদস্য হিরণ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান, আহত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সদস্য হিরণ ।

আহত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সদস্য নুর মোহাম্মদ হিরণ জানান, সাবেক ইউপি সদস্য রিনা মেম্বারের মেয়ে কলেজ ছাত্রী রিতুকে উত্তাপ্ত করার প্রতিবাদ করায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত মঙ্গলবার তিনি তার আত্মীয় রিনা মেম্বারের বাড়িতে ব্যবহারিক কিছু জিনিসপত্র পৌঁছাতে গেলে এ সময় আগ থেকে উৎপেতে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণির ভাই যুবলীগ কর্মী বাহার, চরএলাহী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও আওয়ামী লীগ কর্মী হেলাল উদ্দিন, রুবেল ও মিঠুর নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে আটক করে।
পরে তার হাত-পা বেঁধে বেদম পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এরপর তারা আহত অবস্থায় অভিযুক্ত ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় তাকে ইভটিজার বলে স্থানীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে। কোস্টগার্ড পরে তাকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

পরে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের তদন্তে হিরণের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পূর্ব পরিকল্পিত এবং সাজানো বলে প্রমাণিত হয় বলে জানান পুলিশ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হেলালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ছাত্রলীগ নেতা নুর মোহাম্মদ হিরণ খুবই খারাপ প্রকৃতির ছেলে। তাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি তাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেই।

অপর দিকে চর এলাহী ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, আহত আহত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সদস্য নুর মোহাম্মদ হিরণের সাথে তার মেয়ের অনৈতিক কোন সম্পর্ক নেই। হিরণ তাদের আত্নিয় হওয়ার সুবাদে ব্যবহারিক কিছু জিনিস পত্র নিয়ে তার বাড়িতে আসলে তার উপর এহামলা চালান। মূলত তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে উত্তাক্ত করার প্রতিবাদ করার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে হিরণের উপর এ হামলা চালনো হয়। তিনি আরো জানান, এঘটনার সাথে ও তার মেয়েকে উত্তাক্ত করার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আহত হিরণ ও দোষীদের থানায় আনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হয়। তবে আহত হিরণ মামলা করলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sharing is caring!