ইদ্রিছ মিয়া:
নোয়াখালীর চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের নমুনা সংগ্রহ করতে পারলেও অপর দুই জনের নমুনা নিতে পারেননি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (১ জুন) সন্ধ্যায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার (৩১ মে) রাতের বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতদের মধ্যে দুইজন চাটখিল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছয়ানি টগবা গ্রামের ও অপরজন বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুরের বাসিন্দা।
চাটখিল পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নওশাদুল করিম জানান, রোববার রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে তার ওয়ার্ডে ৫৫ বছর বয়সী এক নারী মারা যান। এর আগের দিন শনিবার রাতে ওই নারীর স্বামী (৬০) মারা গেছেন।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ও করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মো. তামজিদ হোসাইন জানান, মৃত পুরুষের পরিবারের লোকজন তথ্য গোপন করে তার মরদেহ দাফন করে। এর ২৪ ঘন্টা পর তার স্ত্রী বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার সন্ধ্যায় চাটখিল পৌর শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১টার সময় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে মৃত নারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের পরিবারের ৮ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নে ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিজ বাড়িতে মারা যান। জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ তার শরীরে করোনা উপসর্গ ছিল। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাহান সাজু।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা অসীম কুমার দাস জানান, মিরওয়ারিশপুরের ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে কেউ তাকে জানায়নি। তাই মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। করোনা উপসর্গ থাকলে খবর নিয়ে তার সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হবে ।

Sharing is caring!