NKTV ডেস্কঃ

রাজধানী ঢাকার  মগবাজারে একটি বহুতল ভবনে ভাঁড়া থাকেন নোয়াখালী জেলার লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের অধিবাসী  ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন কাঞ্চন। তার বাসার ভবনের একটি ফ্ল্যাটে করোনা আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ায় বৃস্পতিবার ভোর রাতে ঢাকা থেকে গোপনে পরিবার নিয়ে পালিয়ে নোয়াখালীতে চলে আসেন।তার আসার খবর পেয়ে পুলিশ তার গ্রামের বাড়িসহ ওই এলাকা পুরো লকডাউন করেছে।
সুধারাম থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরের লক্ষিনারায়নপুর গ্রামের নুরনবী চেয়ারম্যান বাড়িটিসহ ওই এলাকা লকডাউন করে। এ খবরে নোয়াখালী শহরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
নোয়াখালী পৌরসভার কাউন্সিলর আহসান হাবীব হাসান জানান, ঢাকার মগবাজারে একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন জেলা শহরের লক্ষিনারায়নপুর গ্রামের অধিবাসী ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন কাঞ্চন। ওই ভবনের একটি ফ্লাটে বুধবার বিকালে একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে।
খবর পেয়ে রাতেই তিনি একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে নিজে অসুস্থ রোগী সেজে তার পুরো পরিবারকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের বাড়িতে আসেন। সকালে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন তাকে অবহিত করলে তিনি নিশ্চিত হয়ে সুধারাম থানা পুলিশকে অবহিত করেন। বিকালে সুধারাম থানা পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে সে বাড়িসহ ওই এলাকা লকডাউন করেন। তিনি আরো জানান নোয়াখালী জেলা এখনো করোনা ভাইরাসমুক্ত, গতকাল জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন নোয়াখালী জেলা থেকে কেউ বাহিরে যেতে পারবে না এবং বাহির থেকে কেউ আসতে পারবে না, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এটি না মেনে অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে যাতায়াত করছে।
জানতে চাইলে সুধারাম থানার ওসি নবির হোসেন লকডাউনের কথা স্বীকার করে বলেন আমরা ওখানে গিয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছি, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কেউ ওই বাড়িতে যেতে না পারে এবং বাড়ি থেকে বাহির হতে না পারে। এ ছাড়া জেলার প্রবেশ দ্বারেও বিশেষ সর্তকতা করছি, কেউ যেন যাতায়াত করতে না পারে।

Sharing is caring!