এনকে টিভি ডেস্ক

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও অন্য একাধিক ওষুধ যারা খান তাদের করোনা ভ্যাকসিন নিতে নিষেধ করেছে ভারত বায়োটেক। এ নিয়ে বিস্তারিত একটি তথ্য-পত্র প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

 

ভারতে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হওয়ার পর ৫৮০ জনের শরীরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে সেসব মৃত্যু করোনার টিকার কারণে নয় এমনটা নিশ্চিত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

 

ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, যাদের শরীরে রক্তপাত জনিত সমস্যা রয়েছে, তারাও যেন কোভিড ভ্যাকসিন এড়িয়ে যান। যারা অত্যন্ত অসুস্থ, কিংবা কোনও অ্যালার্জির ইতিহাস রয়েছে যাদের, অথবা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদেরও করোনা ভ্যাকসিন এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

দেশটির সরকার জানিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। প্রসূতি বা যারা প্রেগন্যান্সি নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত নন এবং যারা শিশুদের স্তন্যপান করান এমন মহিলারা টিকা নিতে পারবেন না।

 

সেদেশে দু’টি সংস্থার টিকা দেওয়া হচ্ছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, যারা টিকা নিচ্ছেন তাঁরা যে কোনও একটি সংস্থারই টিকা নিতে পারবেন। টিকার প্রথম ডোজ যে সংস্থার হবে, দ্বিতীয় ডোজটিও ওই সংস্থারই নিতে হবে।

 

আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি অন্য রোগের জন্য টিকা নিয়ে থাকেন, তা হলে সেই টিকার সঙ্গে কোভিড টিকা নেওয়ার সময়ের ফারাক ১৪ দিন হতে হবে। এ ছাড়া, কোভিড পজিটিভে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমন ব্যক্তিরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ পর কোভিড টিকা নিতে পারবেন।

 

আবার যে কোভিড রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে, সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে তারা টিকা নিতে পারবেন। পাশাপাশি, যারা কোনও রোগে আক্রান্ত বা হাসপাতালে ভর্তি তারা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে টিকা নিতে পারবেন।

 

নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে সব ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, যারা কঠিন রোগে আক্রান্ত তা সে হৃদরোগ, স্নায়ু, বা ফুসফুসজনিত রোগ বা এইআইভি— এমন রোগীদের টিকা দেওয়া যেতে পারে।

 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Sharing is caring!