ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে তার সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তিনি যুদ্ধবিরতির ‘পক্ষে’ বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইন প্রতিবেদনে জানায়, বাইডেন-নেতানিয়াহুর মধ্যকার ফোনালাপ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধে মিসরসহ অন্যান্য অংশীদার দেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধবিরতির পক্ষে বাইডেন এখন তার সমর্থন ব্যক্ত করলেও রোববার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান সংবলিত বিবৃতি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে নিরাপত্তা পরিষদের রোববারের বৈঠক থেকে কোনো ফল আসেনি।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত নেই।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ২১২ জন। এছাড়া সেখানে আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৬১টি শিশু ও ৩৬ জন নারী রয়েছেন। আর হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের দুই শিশুসহ দশ জন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত ১০ মে থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ৩ হাজার ৩৫০ টি রকেট ছুড়েছে হামাস। এর মধ্যে শুধু সোমবারই তারা ছুড়েছে ২০০ রকেট।

তার আগের দিন, রোববার মধ্যরাতের পর গাজার মূল শহরসহ আশপাশের এলাকায় ৫০ টি যুদ্ধ বিমান নিয়ে ২০ মিনিট ধরে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছিল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।

দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে,বিমান বাহনী ইসরায়েলের জন্য বিপজ্জনক ৩৫টি লক্ষ্যবস্তু ও হামাস যোদ্ধাদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গপথ, যেগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার, ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের অভিযানে এ পর্যন্ত হামাসের সামরিক শাখার অন্তত ১৩০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

Sharing is caring!