সাহেদ সাব্বির, ফেনী প্রতিনিধি:


স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফেনী পৌর এলাকার সব আবর্জনা পরিণত হবে সম্পদে। এতে আবর্জনার অভিশাপ থেকে যেমন রেহাই পাবে পৌরবাসী, তেমন সম্পদে পরিণত হওয়া আবর্জনা থেকে পৌরসভা উপার্জন করবে প্রচুর অর্থ। যার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এ লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষও করেছে ফেনী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ভূমি ভরাট, স্থাপনা নির্মাণসহ তৈরি হয়েছে ময়লা সংরক্ষণের জন্য কেবিন।

 

প্রায় বিশ বছর যাবত ফেনী শহরে প্রবেশপথের দেয়ানগঞ্জসহ একাধিক স্থানে রাস্তার পাশে ফেলা হতো পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের ময়লা ও আবর্জনা। এতে উৎকট গন্ধে স্থানীয়রা পড়তেন চরম ভোগান্তিতে। দেখা দিতো ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগ। ময়লার দূষণে ঘর করেও সেখানে বসবাস করতে পারেনি মানুষ।

ফেনী পৌরসভার নির্মাণাধীন পরিবেশবান্ধব জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রএ সমস্যা দূর করে ময়লাকে সম্পদে রূপান্তর করতে ফেনী পৌরসভা ২০১৮ সালে ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম প্রকল্পের অধীনে শহরের সুলতানপুরে প্রায় ৭০ শতক জায়গায় তৈরি করছে পরিবেশবান্ধব জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্র। ফেনী পৌর কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দেওয়ানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিনের অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে তাদের রেহাই দেবে পৌরসভার প্রকল্পটি। সুলতানপুরের প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে অফিসকক্ষ ও ময়লা পৃথকীকরণের কেবিনসহ শেষ পর্যায়ে রয়েছে স্থাপনা নির্মাণ। এক নির্মাণ শ্রমিক জানান, দিন-রাত দুই শিফটে কাজ চলছে।

ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজি আলাউদ্দিন  বলেন, কারখানাটি চালু হলে শহরে প্রতিদিনের ৪০ টন অপসারিত বর্জ্য থেকে ৮ টন জৈবসার উৎপাদিত হবে। যার মূল্য হবে ৯৬ হাজার টাকা। যা চক্রাকারে প্রতিমাসে হবে ২৪০ টন। আর সবকিছু ঠিক থাকলে প্রকল্পটি থেকে বছরে আয় হবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

‘পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। চলতি বছরের ৩০ মে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা শেষ হয়নি। তবে আগামী বছরের শুরুতে পুরোদমে কারখানাটি চালু হবে।’

Sharing is caring!