মো. সেলিম:

পাঁচ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নোয়াখালী জেলা শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে এ সম্মেলন শুরু হবে। দলটির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিলো ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ (এমপি), জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল (এমপি)।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সফল সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী (এমপি)।

জেলা শহরসহ বিভিন্ন সড়কে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ করতে জেলা কমিটির পাশাপাশি উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সম্মেলকে ঘিরে জেলাব্যাপী চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও। নয়নাভিরাম আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয়েছে জেলা শহর।

জেলা শহর মাইজদীর প্রধান ও সংযোগ সড়কের পাশে ভরে গেছে সম্মেলনে আগত অতিথি ও প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টার-ফেস্টুন।

অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এ পদে অন্য কোন প্রার্থীর নাম এখনো শোনা যাচ্ছে না।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর (এমপি) পক্ষে তার সমর্থকরা ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন।

একই পদে অন্য প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের পক্ষেও তার সমর্থকরাও প্রচারনায় মাঠে রয়েছে। তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনেই ভরে গেছে শহর ও শহরতলির এলাকা। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন।

দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, নোয়াখালী এক সময় বিএনপির ঘাঁটি ছিলো। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নির্যাতনের ভয়ে এখানে দলের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ সাহস পেত না। কিন্তু এখন নোয়াখালী আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে ঘঠিত হয়েছে। বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগকে তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করা হয়েছে। দলে কোন গ্রুপিং বা দ্বন্ধ নেই। দলের সাংগঠনিক প্রধান শেখ হাসিনা যাকে দলের দায়িত্ব দেবেন, তিনিই জেলায় দলের হাল ধরবেন।

আরেক সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, দায়িত্বে কে আসবেন সেটা দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঠিক করবেন। তবে সৎ, যোগ্য, ক্লিন ইমেজ ও তৃণমূলের কাছে যিনি জনপ্রিয় তিনিই দায়িত্ব পাবেন।

Sharing is caring!