এনকে টিভি ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং বসুরহাটের পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আগামীকাল শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছেন।

 

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংর্ঘর্ষের ঘটনার পর তিনি এই হরতাল ডাকেন।

 

এর আগে এ দিন বিকেল পাঁচটার দিকে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জসহ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন।

 

গুলিবিদ্ধরা হলেন- উপজেলার বড়রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০), বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)। এছাড়া আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

 

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজার এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নেন আওয়ামী লীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বাজারের দলীয় কার্যালয়ে দিকে যায়। হঠাৎ করে ওই মিছিলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক জামাল উদ্দিন লিটনসহ কিছু লোক বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ সংঘর্ষ চলে।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এইচ/আর

Sharing is caring!