Nktv desk:

“””সেবা করার জন্য বড় ডিগ্রির চেয়ে মানসিকতাই বড় প্রয়োজন””

শারমিন আক্তার সুমি, পেশায় একজন ডিএমএফ চিকিৎসক।

ভয়ংকর করোনা মহামারিতে দেশের স্বাস্থ্য সেবা যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে সে সময় একজন মানবসেবী হিসেবে
নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পারেননি শারমিন আক্তার সুমী। ৬৪০টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছেন।গর্ববতি, মা, নবজাত ও শিশু সেবা দিয়েছেন প্রায় ৫০০০।

তিনি প্রমান করেছেন মানুষের সেবা করতে হলে বড় কোন ডিগ্রি লাগে না।

তাছাড়া তিনি এই পর্যন্ত ১৫০০০ হাজারের বেশি ব্লাড গ্রুপিং ও অনেক ডোনেশন করেছেন। অসহায় কৃষক, রিক্সা শ্রমিকদের কম্বল বিতরণ, গরীব পথ শিশুদের ঈদের পোশাক বিতরণ, রোজার সময় ইফতার করানো, এতিম শিশুর পড়াশোনা খরচ সহ সকল খরচ চালানো এইরকম আরো ডজন খানেক সেবামুলক কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।

শারমিন আক্তার সুমী জানান,
মানুষের তিন রকম ক্ষুধা,
১.পেটের ক্ষুধা ২.মনেরক্ষুধা ৩.আত্নার ক্ষুধা

তিনি মনে করেন, ক্ষুধা মানেই হলো প্রতিদিন একটা ভালো কাজ করা।সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান আজীবন।

আলাপচারিতায় ০৪ টি বিষয়কে তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছে,
১/ সৃষ্টির সেবা করতে হবে
২/ কর্মক্ষেএে এবং বাস্তবজীবনে সর্বদা সৎ থাকতে হবে
৩/ প্রচুর পরিশ্রমি হতে হবে
৪/জ্ঞান অর্জন করতে হবে

দিনরাত অক্লান্ত সেবা দানের মধ্যে দিয়ে গরিব অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে পেয়েছেন প্রশংসা আর অকুণ্ঠ ভালোবাসা।

এলাকাবাসি বলেন, শারমিন আপা সত্যিই একজন সহজ সরল সদালাপি মানুষ। দিনরাত ২৪ ঘন্টা যখনই আমরা হাসপাতালে সেবা নিতে যাই উনি হাসিমুখে সেবা দেন কখন উনাকে বিরক্তি অনুভব বা ক্লান্ত মনে হয় না।

তিনি বতর্মানে নোয়াখালি বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে আন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এনজিও “রিসোর্স ইন্টিগ্রেট সেন্টার এ প্যারামেডিক হিসেবে কর্মরত আছেন।

জয় হোক ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের যাদের কাছে মানুষের ভালোবাসা আর সম্মান সবসময় প্রেরনার কাজ করে।

আমরা দেখতে চাই এমন হাজারো শারমিন আক্তার সুমি
যারা ডিএমএফ চিকিৎসক হয়ে কর্মের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়।

🏳🏳🏳🏳

Sharing is caring!