২০তম ধাপে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছাল আরও ১৫৫ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ৩২ হাজার ৪৩৫ জনে।

রোববার (২১ মে) বিকেলে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছান। এর আগে দুপুরে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্রগ্রামের বোটক্লাব ত্যাগ করেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা, বানৌজা তিমি ও বানৌজা পেঙ্গুইনের মাধ্যমে ৯১৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়। এরমধ্যে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসেন ৪৫ পরিবারের ১৫৫ জন, বেড়াতে আসেন ৬৩৩ জন ও পূর্বে বেড়াতে গিয়ে ফেরত আসেন ১২৬ জন রোহিঙ্গা। রোববার বিকেলে রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির নমাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

ভাসানচর ক্যাম্প ইনচার্জ মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়। স্বেচ্ছায় আজ ৪৫টি পরিবারের ১৫৫ জন অর্থাৎ ৪২ জন পুরুষ, ৫৮ জন মহিলা ও ৫৫ জন শিশু ভাসানচরে আসেন।

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চট্রগ্রাম থেকে ভাসানচর আসা পর্যন্ত পুলিশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ছিল এবং ভাসানচর নামানোর পর বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা সঙ্গে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের ২১ মে পর্যন্ত ২০ ধাপে ভাসানচরে ৩২ হাজার ৪৩৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।

Sharing is caring!