বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোনসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী বাসের একজন চালককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবায় নিযুক্ত ওই বাসটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ঢাকায় আসছিল।

পথিমধ্যে আগরতলার ইন্টিগ্রেটেড চেক-পোস্ট (আইসিপি) থেকে এসব মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং চালককে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। মঙ্গলবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চোরাচালান কৌশল ব্যর্থ করে আগরতলায় ভারত-বাংলাদেশ বাস সার্ভিস থেকে বিশাল সংখ্যক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। পরে বাস চালককেও আটক করে তারা।

বিএসএফ জানিয়েছে, ত্রিপুরা সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের মৈত্রী বাস (আগরতলা থেকে ঢাকা) গত ২১ মে রোববার নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য ইন্টিগ্রেটেড চেক-পোস্ট (আইসিপি) আগরতলায় পৌঁছায়। বাদল হক নামের ওই বাসচালক ব্যতীত সকল যাত্রীই আইন অনুযায়ী ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের জন্য আইসিপির ভেতরে যান।

তবে বাস চালক বাদল হকের সঙ্গে বাসের কন্ডাক্টর এবং লিয়াজোঁ অফিসার বাইরে ছিলেন। এসময় গোয়েন্দা দলসহ বিএসএফ কর্মকর্তারা বাসটিকে ভালোভাবে পরীক্ষা করেন।

বিএসএফের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাসটি পরীক্ষা করার সময় বিএসএফ কর্মকর্তারা মোট ৬৬৫টি মোবাইল উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ৩৬৩টি ফোন ছিল একেবারে নতুন।’

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বলেছে, এই মোবাইল ফোনগুলো বহনকারী সন্দেহভাজন যাত্রীরা আইসিপির ভেতরে ছিল। তবে বিপদ আঁচ করতে পেরে দ্রুত নিজেদের অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং বিএসএফের কাছে আটক হওয়া পণ্যগুলো রেখেই নিয়মিত যাত্রী হিসাবে চলে যায়।

পরে বিএসএফ বাস চালককে আটক করে এবং প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর জব্দ করা মালামাল কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে।

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিয়মিত বিভিন্ন নিষিদ্ধ জিনিস জব্দ করা হয় বলেও জানিয়েছে বিএসএফ।

Sharing is caring!