বাংলাদেশের নোয়াখালীতে স্থাপিত গান্ধী আশ্রমের পরিচালনায় পুরোনো আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ সংক্রান্ত গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্টি বোর্ড) বিল-২০২১ উত্থাপন করেন। পরে তা ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

সামরিক শাসনামলের ‘দ্যা গান্ধী আশ্রম বোর্ড অব ট্রাস্টি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৫’ এর নতুন করে বাংলায় আইন নতুন করে বিলটি আনা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, গান্ধী ট্রাস্ট একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। আশ্রমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও হস্তান্তর বোর্ডের কাছে থাকবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ছয়জন ট্রাস্টিকে সরকার মনোনয়ন দেবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।

 

এই বোর্ড জনসাধারণকে শান্তি ও সম্প্রীতিতে জীবন যাপনসহ সাবলম্বীকরণ সংক্রান্ত কাজ করবে। বোর্ড সুতাকাটা, বুনন, মৎস্য চাষ, কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান, বিধবা-এতিম-দুস্থদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ এসব কাজ করবে বলে বলা হয়েছে।

বোর্ডের একটি তহবিল থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকারসহ অন্যান্য উৎস থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি-বিজড়িত এই ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন গান্ধী আশ্রমটি পরিচালনা করার স্বার্থে প্রস্তাবিত আইনে নতুন কোনো বিধান না এনে কেবল পূর্ববর্তী অধ্যাদেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্টির গঠন ও কার্যক্রমকে চলমান রাখতে বিলটি আনা হয়েছে।

Sharing is caring!