এনকে টিভি ডেস্কঃ

নোয়াখালী প্রাইম হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৮ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫ টায় হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ভাংচুর চালিয়েছেন আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা। মৃত রোগী বিটন রহমান (৩০) কবিরহাট উপজেলার নতুন সাহাজিরহাটের উত্তমপুর লামছি গ্রামের আলহাজ্ব মফিজ মিয়ার ছেলে।

.

ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে গেলে রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ওই হাসপাতালের মালিক পক্ষের লোকজন ও তাদের পেটুয়া বাহিনী। এসময় কলকাতা টিভির শরীফ খান, ঢাকা পোস্টের হাসিব আল আমিন ও বাংলা চ্যানেলের ইসমাইল হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় তারা। এসময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের মারধর ও লাঞ্ছিত করে এবং সাংবাদিকদের ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোবাইল ভাংচুর করা হয়।

.

নিহতের বড় বোন লাইলী বেগম বলেন, গতকাল বিকাল ৫ টায় আমার ভাইকে মেরুদন্ড অপারেশনের জন্য প্রাইম হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। প্রায় তিন ঘন্টা অপারেশন হয়েছে বলে জানায় হাসপাতালের লোকজন। রাত ১২ টা বাজলেও ওরা জানায় আমার ভাইয়ের জ্ঞান ফিরে নাই। এরপর ভোর সাড়ে ৫ টায় বলে, আমার ভাই নাকি মারা গেছে।

.

নিহতের ভাই জহির উদ্দিন বলেন, ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারণে আমার ভাই মারা গেছে।

.

অভিযুক্ত ডা. মো. ফরিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

.

কলকাতা টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি শরীফ খান বলেন, যখন হাসপাতালের লোকজন ও রোগীর লোকজন বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে তখন চিত্রধারণের সময় হাসপাতালের লোকজন আমার ওপর চড়াও হয়, মোবাইল ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং মারধর ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। উপস্থিত সাংবাদিকদের চাপে ভাঙ্গা মুঠোফোনটি ফেরত দেয়।

.

হাপাতালের এজিএম (ফিন্যান্স এন্ড এডমিন) শিপন সেন সাংবাদিকদের কাছে রোগীর অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর বিসয়ে দু:খ্য প্রকাশ করেন। একই সাথে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমাও চান।

.

সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। রোগীর স্বজনরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

এইচ/আর

Sharing is caring!