আবারো ইউরোপ সেরার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। বছর বছর প্রতিপক্ষ বদলায়, তবে পিএসজির জন্য গল্পটা একই থাকে। তারকাবহুল দল নিয়েও টানা দুই মৌসুমে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিল প্যারিস জায়ান্টসরা। বিশ্বসেরা তারকাদের দলে ভিড়িয়েও এমন ব্যর্থতার পোস্টমর্টেম করলে হয়তো অনেক কারণই খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফে গালটিয়ের কাঠগড়ায় তুললেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ফুটবলারের না থাকাকে।

বিশ্বকাপ বিরতির পর থেকেই যেন ইনজুরি থাবায় জেরবার পিএসজি। মেসি, এমবাপে কিংবা নেইমার রেহাই পেয়েছেন কে? তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা আসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের আগে নেইমার ও প্রেসনেল কিমপেম্বের চোট। বাকি মৌসুম থেকেই ছিটকে গেছেন তারা। আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ব্যর্থতার জন্য প্রথম একাদশের ফুটবলারদের না থাকাকেই দায়ী করছেন গালটিয়ের।

পিএসজি কোচ বলেন, ‘যখন আমরা সেরা ফুটবলটা খেলছিলাম, তখন গোল করতে পারিনি। এরপর আমরা হাস্যকর একটা গোল খেলাম। দুই লেগেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফুটবলারকে পাইনি। মূলত এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এমন ফল হতাশাজনক, কিন্তু আমাদের হজম করে নিতে হবে।’

অথচ ইউরোপ সেরা হতে কি না করেছে নাসের আল খেলাইফির পিএসজি। বস্তার পর বস্তা পেট্রোডলার খরচ করে বিশ্বসেরা তিন তারকা মেসি-এমবাপে-নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছে। তাতে লাভটা কি হলো! একের পর এক লিগ শিরোপা জেতা গেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে টানা ১১তমবার ব্যর্থ হলো প্যারিস জায়ান্টসরা। বিশ্বসেরা তারকাদের নিয়ে পিএসজির এই প্রজেক্টের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে এতদিন গুঞ্জন থাকলেও এবার জোরেশোরেই প্রশ্ন উঠছে।

পিএসজিতে গালটিয়েরের ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় থাকছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘এই বিষয়ে এখনই কথা বলা ঠিক হবে না। মূলত আমার থাকা না থাকা নির্ভর করে পিএসজি ম্যানেজমেন্ট ও প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই হতাশা আছে। কারণ, এই টুর্নামেন্ট থেকে ক্লাবের চাওয়াটাই বেশি ছিল।’

Sharing is caring!