রাতের আঁধারে নোয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকা, বাসস্ট্যান্ডে, ফুটপাতে, রেলস্টেশনে থাকা ছিন্নমূল, বয়স্ক ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। সোমবার মধ্যরাতে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে ২০০ কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেওয়ান মাহবুবুর রহমান সোনাপুর ও মাইজদী রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে ভবঘুরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন। শীতবস্ত্র বিতরণের খবর পেয়ে আশপাশ থেকে ছুটে আসে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও পথশিশু। পরে সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে কম্বল তুলে দেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। কম্বল পেয়ে খুশি হন দুঃস্থ শীতার্তরা।

আবদুস সাত্তার নামের এক ভিক্ষুক বলেন, চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমাইসি। কিন্তু শীত সহ্য করতে পারছিলাম না। কেউ একজন এসে পরম মমতায় গায়ে কম্বল জড়ায়ে দিলো। জানলাম তিনি জেলা প্রশাসক স্যার। আজ কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাব, ডিসি স্যারকে ধন্যবাদ।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষরা কষ্টে দিনযাপন করছেন। তাদের পাশে এখনই দাঁড়ানোর সময়। এ রকম যারা ভাসমান জীবনযাপন করছেন তাদের পর্যায়ক্রমে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে।

শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রতিটি স্বচ্ছল মানুষের উচিত সমাজের এসব সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমি ব্যক্তিগতভাবে আজকে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালাম। তারা কম্বল পেয়ে খুব খুশি হলো। সুশৃঙ্খলভাবে আমি দুই শতাধিক কম্বল তুলে দিয়েছি। এমন সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজিমুল হায়দার, নোয়াখালী সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ, জেলা প্রশাসনের নেজারাত দেবাশীষ অধিকারী, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খানসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন

Sharing is caring!