নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজলা হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৪২) হত্যা মামলার আসামি মো. সামছু প্রকাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে জাহাজমারা ইউনিয়নর কাঁটাখালী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সামছু ওই এলাকার ছাদু মাঝির ছেলে।

পুলিশ জানায়, হাতিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৪২) হত্যা মামলার ২০ নং আসামি সামছু কাঁটাখালী নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে ওসি আবুল খায়েরের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। পরে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে কাঁটাখালী খালের পাশে থাকা একটি ট্রলার কারখানা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, গ্রেফতারকৃত সামছু রবীন্দ্র হত্যা মামলার ২০ নং ও জোবায়ের হত্যা মামলার ৮ নং আসামি। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধ আরও একটি মামলা করা হব

 

উল্লেখ্য, বুধবার (৯) জুন রাত আড়াইটায় উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকায় রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৪২) নামের এক ইউপি সদ্যকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত রবীন্দ্র চন্দ্র দাস হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সতীশ চন্দ্র দাসের ছেলে।

গত শুক্রবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের ছেলে বিটল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ৬৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন চন্দ্র দাস (৪০)। তিনি একই এলাকার মৃত নরত্তোম দাসের ছেলে। চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গামছাখালি গ্রামের আনাজল হকের ছেলে আমজাদ (৩৪)। তার বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় অগ্নিসংযোগসহ ৭টি মামলা রয়েছে।

Sharing is caring!